ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মারা গেলেন জনপ্রিয় কে-ড্রামা অভিনেত্রী কাং সিও হা বক্স অফিসে চলছে ডাইনোসর-সুপারম্যান লড়াই মারা গেছেন বরেণ্য অভিনেতা ধীরাজ কুমার এক সিনেমাতেই চার ভিন্ন রূপে দেখা যাবে আল্লু অর্জুনকে আবারও বক্স অফিসে ঝড় তুললো ‘সিতারে জামিন পার’ মেহজাবীনকে কটাক্ষ: ‘অপেক্ষায় থাকেন’ জবাব অভিনেত্রীর! রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজ করে হতাশ রুবেল কনার ডিভোর্সের সাক্ষ্য দিলেন নুসরাত ফারিয়া! নারী আসন ও সংসদ পদ্ধতি নির্ধারণে ঐকমত্য হয়নি মুজিববাদী ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০ ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাবনায় আইনজীবীদের ক্ষোভ নারী আসন দ্বিগুণ করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে ভোট চায় বিএনপি বিএনপি-এনসিপি বাকযুদ্ধে তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি এই সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে-আইন উপদেষ্টা জনমনে বাড়ছে আস্থাহীনতা প্রতিনিয়তই জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণ করতে হবেÑ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তনে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবেÑ রিজওয়ানা কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক বাড়লেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেই মিটফোর্ডের ঘটনায় তাবেদার শক্তির এদেশীয় ধারকবাহক জড়িত- রিজভী

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক বাড়লেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেই

  • আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৪:৩১:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৪:৩১:২৬ অপরাহ্ন
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক বাড়লেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেই
কক্সবাজার প্রতিনিধি দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ নেই। বরং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে সমুদ্রসৈকত। প্রায়ই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। সৈকতে ভেসে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কক্সবাজারের সৈকতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন পর্যটক আর একই সময়ে ৫৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতে কাজ করতো। কিন্তু অর্থের অভাবে আগামী সেপ্টেম্বরে ওই উদ্যোগটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় একটি টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করার কথা জানানো হয়েছে। পর্যটন খাত ও স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক বাড়লেও লাইফগার্ড কর্মী বাড়েনি। বর্তমানে রেলপথ সংযুক্ত হওয়ায় কক্সবাজারের সৈকত পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। যে কারণে সমপ্রতি সৈকতে নেমে জোয়ার কিংবা ভাটায় ভেসে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে লাইফগার্ড কর্মীরা কাজ করেন কক্সবাজারে তিনটি সৈকতে। তারা পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ এবং ৯টি স্কি টিউব ও একটি রেসকিউ বোট দিয়ে সৈকতে বিপদগ্রস্ত পর্যটককে উদ্ধার করেন। তাছাড়া সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার হিসাবে হাঁটুপানিতে নামার স্থান নির্ধারণে লাল, লাল-হলুদ পতাকা উত্তোলন, হুইসেল প্রদানের মতো সতর্কতামূলক কাজও এ কর্মীরা করেন। সূত্র জানায়, অস্থায়ী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অধীনে কক্সবাজারে ২৯ জন, সেন্টমার্টিনে পাঁচজন বিচ কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। ওই কর্মীরা পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকিং, হাঁটুপানির বেশি পানিতে না নামতে নির্দেশনা প্রদান, বিপদ বুঝে লাল-হলুদ পতাকা ওড়ানোসহ বিভিন্ন কাজ করেন। তবে বিপদে পড়া পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখে সি সেফ প্রকল্পের লাইফগার্ডরা। বিগত ২০১৪ সালে কক্সবাজারের সৈকতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে বেসরকারি সংস্থা দ্য সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) ‘সি সেফ প্রজেক্ট’ চালু করে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারের জনপ্রিয় তিনটি সমুদ্রসৈকতে ২৭ জন প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড কর্মী পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। সূত্র আরো জানায়, বিগত ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতে দুর্ঘটনায় ৬৩ জন মারা গেছে। আর ওই সময়ে লাইফগার্ড কর্মীরা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন ৭৯৫ জন পর্যটককে। ২০১৫ সালে সমুদ্র স্নানে যাওয়া ১০ পর্যটকের মৃত্যুর পর ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২ পর্যটক মৃত্যুবরণ করেন। আর বিগত এক দশকের মধ্যে গতবছর ১৪৩ জনকে উদ্ধার করাও ছিল রেকর্ড। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১১ জন পর্যটক কক্সবাজারের সৈকতে প্রাণ হারিয়েছে এবং ৫৩ জনকে একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকত দেড় কিলোমিটার, লাবনী বিচ এক কিলোমিটার দীর্ঘ হলেও মাত্র অর্ধেক সি সেফ গার্ড কর্মীদের আওতায় থাকে। কক্সবাজার পৌর এলাকায় আরো বেশকিছু সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও সেখানে নিরাপত্তা দেয়া যাচ্ছে না। অথচ হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন সৈকতের অন্তত আরো ১০টি পয়েন্টে সি সেফ গার্ড নিয়োজিত করা প্রয়োজন। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে বিভিন্ন সৈকতে পর্যটকদের ভেসে যাওয়া ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে এ বিষয়ে সিআইপিআরবির সি সেফ প্রকল্পের ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, প্রকল্পের অধীনে স্বল্প জনবল নিয়ে কক্সবাজারের মতো দীর্ঘ একটি সমুদ্রসৈকতের মাত্র তিনটি পয়েন্টে লাইফগার্ড সদস্যরা কাজ করেন। তাও প্রতিটি বিচের মাত্র ৫০ শতাংশ এলাকা লাইফগার্ড সদস্যদের নজরদারির আওতায় থাকে। সীমিত সুবিধা, প্রতিনিয়ত প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে কর্মীরা কাজ করছেন। কারণ ফান্ড পাওয়া না গেলে আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম জানান, সামপ্রতিক সময়ে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে নেমে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে চলমান সি সেফ গার্ডদের কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন নিয়মিত তদারকি করে। কিছুদিন আগে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন সংস্থার কাছে চিঠি দিয়ে প্রকল্পটি চালু করেছে। পর্যটক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সৈকতে ভেসে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন একটি টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। তবে নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগে বিচ কর্মীসহ সি সেফ গার্ড কর্মীদের সমন্বয়ে প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য